আর মাত্র এক সপ্তাহ পরেই রিপাবলিকান পার্টির প্রথম প্রাইমারি ভোট হতে
যাচ্ছে। আইওয়া স্টেট দিয়ে শুরু হয় এই পার্টির নমিনেশন পাওয়ার যুদ্ধ।
"বিলিভ ইট অর নট", ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনো সার্ভে পোল এ বাকি ডজন খানেক
প্রার্থীর থেকে এগিয়ে আছে। যদিও দ্বিতীয় অবস্থানে এখন অন্য একজন: টেড
ক্রুজ। "ডেভিল" বেন কারসন এখন রেস এ বেশ খানিকটা পিছিয়েই পড়েছে। যদিও এই
সার্ভে পোল নিয়ে আমার একটা অনুমান আছে: যদিও সার্ভে পোল গুলো দাবি করে যে
তারা বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে এটা পরিচালনা করে কিন্তু তাহলে একটা পোলের ফলাফল
এর সাথে আরেকটা পোলের ফলাফল পার্থক্য কেন ১০ শতাংশ এর কাছে হবে? তবে মূল
সমস্যা এটা না। আমার মনে হয় এই সার্ভে পোল এর একধরনের "দ্বিমুখী প্রভাব"
আছে। অনেকটা "কজ এন্ড ইফেক্ট" (কারণ এবং প্রভাব) চক্রের মত। তবে কোনটা
"কারণ" আর কোনটা "প্রভাব" সেটাই এখানে প্রশ্ন। আর এই সার্ভে পোল এর ফলাফল
ঘটা করে প্রচার করে একধরনের "বিপরীত প্রভাব" তৈরী করা হয়। এটাকে সামাজিক
বিজ্ঞান এর ভাষায় বলা হয় "সোশ্যাল কনফরমিটি" (সামাজিক সাদৃশ্য), যেখানে
আমরা সবাই সমাজের সংখ্যাগরিষ্ট মানুষের ব্যবহার ও আচরণ এর সাথে খাপ খাওয়াতে
চাই। এই জন্যই আমরা আমাদের চারপাশে বেশির ভাগ মানুষকেই দেখি একই ধরনের বেশভূষা
পড়ে ঘুড়ে বেড়ায়। ঈদ এর দিনে বেশির ভাগ ছেলেরা পাজামা পাঞ্জাবি পড়ে থাকি
আর অফিস এ যাই শার্ট প্যান্ট পড়ে। তাই যখন বেশির ভাগ সার্ভে পোল এবং
মিডিয়া বলা শুরু করে যে ডোনাল্ড ট্রাম্প পোল এ সবার উপরে তখনই বাকি সব
মিডিয়া আরো বেশি করে কাভারেজ পাওয়া শুরু করে। মানুষ ও তখন এক ধরনের
"সোশ্যাল কনফরমিটির" চাপে পড়ে যায়। যাই হোক, শেষ কথা হলো - ডোনাল্ড ট্রাম্প এখন ফ্রন্ট রানার। আমার এখন ফেসবুক এর একটা গ্রুপ এর মত করে বলতে ইচ্ছে করে: "কেউ আমারে মাইরালা"।
গতকালকে
ডোনাল্ড ট্রাম্প এর শিবিরে আরো একজন যুক্ত হয়েছে। সেরাহ প্যালিন। যারা
একে জানেন তাদেরকে আর কিছু বলতে হবেনা কিন্তু যারা জানেন না তাদের জন্য:
রাস্তার ধারে কিছু মানুষ আছে যারা সস্তা এবং নোংরা ভাষায় ঝগড়া করে, সেরাহ
প্যালিন হলো সেই ধরনের মানুষ। গতকালকের এন্ডর্সমেন্ট এর ভিডিও অনেক কষ্ট
করে ২০ মিনিট ধরে দেখলাম - চরম অরুচিকর আর জঘন্য সস্তা একটা মানুষ।
ডোনাল্ড ট্রাম্প আর সেরাহ প্যালিন জুটি হলো এই পৃথিবীকে আমেরিকার এই
শতাব্দীর সবচেয়ে জঘন্যতম উপহার। বারাক ওবামা এই দেশে একটা মেরুকরণের শুরু
করেছে যেটা আমেরিকার অন্ধকার দিকটাকে নগ্ন ভাবে উম্মোচিত করে দিয়েছে। বারাক
ওবামার প্রেসিডেন্সি যেমন আমেরিকার সবচেয়ে উদার দিকটা দেখিয়ে দিয়েছে তেমনি
জাগিয়ে দিয়েছে সবচেয়ে ভয়ংকর দিকটাকে। সব ভয়ংকর এখন এক মঞ্চে। এরা জিতুক বা
না জিতুক। এখন, পরবর্তিতে যখন সুস্থ স্বাভাবিক একজন আসবে (যখন আসবে। আল্লাহই জানে কবে) তার কাজ হবে, আমেরিকার ভাবমূর্তির যে পরিমান ক্ষতি হয়েছে
সেটার পুনরুদ্ধার করা।
No comments:
Post a Comment