আমাদের প্রথম সন্তান হয়েছিল বাংলাদেশে। তখন সি-সেকশন করতে হয়েছিল বিভিন্ন জটিলতা দেখা দেয়ায়। আর দ্বিতীয় সন্তানের সময় এখানে আমেরিকায় ছিলাম। এই ক্ষেত্রে, সাধারণ চিকিৎসা বিজ্ঞানের নিয়ম অনুযায়ী দ্বিতীয় সন্তানের সময়ও সি-সেকশন কে রেকমেন্ড করা হয়। এখানকার চিকিৎসকও সেই কথা বলেছিলেন। কিন্তু আমাদেরকে এই নরমাল ডেলিভারির অপশনও দিয়েছিলেন এর বহুবিধ উপকারের জন্য। এর রিকভারি সময় অনেক কম, পরবর্তী কম্প্লিকেশনও অনেক কম- সর্বোপরি, এটা মায়ের ভবিষ্যৎ সুস্থ্য জীবনের জন্য কার্যকর। তবে সাথে এটাও বলেছিলেন যে আগেরবার সি-সেকশন হওয়াতে মায়ের এবং সন্তানের জন্য ঝুঁকি অনেক বেশি।
যাই হোক। নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম যে আমরা সি-সেকশন এ যাব না। লং স্টোরি শর্ট: আল্লাহর রহমতে সব কিছু ভালো ভাবেই সম্পন্ন হয়েছিল।
যে জন্য এত কিছু বলা: চিকিৎসা বিজ্ঞান আল্লাহর একটা নেয়ামত এবং রাসুলাল্লাহ (সাঃ) এরও সুন্নাহ। সবাইকে অনুরোধ, সর্বোপকার চিকিৎসা বিজ্ঞানের এই আশীর্বাদকে যেন আমরা আশীর্বাদ হিসেবেই বব্যবহার করি, অতি বব্যবহারে অথবা ভুল বব্যবহারে নিজেদেরকে ক্ষতিগ্রস্ত না করি।
“…২০১৮ সালে অপ্রয়োজনীয় সি–সেকশন হয়েছে ৮ লাখ ৬০ হাজার। প্রতি ১০টি সি–সেকশনের মধ্যে অন্তত ছয়টি অপ্রয়োজনীয় ছিল। সি–সেকশন বাড়ার ফলে অনেক পরিবারকে গুনতে হচ্ছে বাড়তি টাকা। বাড়িতে স্বাভাবিক প্রসবে ১ হাজার ৩০০ টাকা, প্রাতিষ্ঠানিক স্বাভাবিক প্রসবে সাড়ে পাঁচ হাজার টাকার বেশি এবং সি–সেকশনে ২০ হাজার টাকার বেশি খরচ হচ্ছে।
বিডিএইচএস ২০১৭–১৮ প্রতিবেদন অনুসারে, শহরের ৪৪ শতাংশ এবং গ্রামে ২৯ শতাংশ মায়ের সি–সেকশন হচ্ছে। বেসরকারি হাসপাতালে প্রসবের ৫২ শতাংশ এবং সরকারি হাসপাতালে ১১ শতাংশ সি–সেকশন হচ্ছে। …”
No comments:
Post a Comment