আমি একজন মুসলিম!
আমি মর্মাহত! আমি অনুতপ্ত! আমি ক্ষুব্ধ!
বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম এই ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজা নিয়ে যে পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে সেটা খুবই দুঃখজনক। একজন মুসলিম হিসেবে এটি আমার জন্য খুবই কষ্টের একটা অনুভুতি। একজন মুসলিম হিসেবে আমার দায়িত্ব হলো রাষ্ট্রীয় সীমানার মধ্যে প্রত্যেক মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিত করা, সেটা যে ধর্মেরই হোক না কেন।কেউ যখন একটি রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে নিজেকে এর কাঠামোর মধ্যে অর্পণ করে তখন এটা একটি সন্ধিপত্র হিসেবে কাজ করে। তখন সব নাগরিকের মর্যাদা, অধিকার ও নিরাপত্তা রক্ষা আমার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে যায় - বিশেষত সংক্ষালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা - কেননা তাঁরাই সবচেয়ে বেশি নিরাপত্তাহীনতা অনুভব করে। কেউ যদি কোন অন্যায় করে, সেটা যে ধর্মেরই হোক না কেন তখন তার জন্য আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। কিন্তু কেউ যদি ইসলাম এর নামে কোন মন্দিরে হামলা চালায় অথবা হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের উপর আক্রমণ করে (এমনকি কথার খাতিরে যদি ধরেও নেই যে কেউ ইসলাম এর অবমাননা করেছে- যদিও আমার বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে) তখন আমাদের বাকি সব মুসলিমদের জন্য কর্তব্য হয়ে পড়ে এর প্রতিবাদ করা ও তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসা। তা না হলে আমি যখন শেষ বিচারের দিনে আল্লাহর সামনে দাড়াবো তখন আমাকে এর জন্য অবশ্যই আল্লাহর সামনে জবাবদিহি করতে হবে।
আল্লাহ্ তায়ালা বলেন,,,
وَلَا تَسُبُّوا الَّذِيْنَ يَدْعُوْنَ مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ فَيَسُبُّوا اللّٰهَ عَدْوًا بِۢغَيْرِ عِلْمٍ
‘হে ঈমানদারগণ! তারা আল্লাহকে বাদ দিয়ে যেসব দেবদেবীর পূজা-উপাসনা করে, তোমরা তাদের গালি দিও না। যাতে করে তারা শিরক থেকে আরো অগ্রসর হয়ে অজ্ঞতাবশত আল্লাহকে গালি দিয়ে না বসে।
(সূরা আনআম: ১০৮)
বিশ্বনবী (সা.) বলেন, ‘
কোনো মুসলমান যদি ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের অধিকার ক্ষুন্ন করে কিংবা তাদের ওপর জুলুম করে, তবে কেয়ামতের দিন আমি মুহাম্মদ ওই মুসলমানের বিরুদ্ধে আল্লাহর আদালতে লড়াই করব। ’
(সুনানে আবু দাউদ : ৩০৫২)
বিঃ দ্রঃ - ধর্মীয় সংখ্যালঘু হিসেবে একজন মানুষ কতটা মানসিক পরিস্থিতির মধ্যে থাকে সেটা যে কখনো ওই অবস্থায় থাকে নাই সে ওটা খুব কমই বুঝতে পারে।
No comments:
Post a Comment