ঈদ এর পরদিন আমার ঘুম ভাঙলো প্রচন্ড ঘাড় আর পিঠের উপরের দিকে ব্যথা নিয়ে। তখন সকাল পাঁচটার মত বাজে। এতই ব্যথা যে আমার নিঃশ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছিল। তার সাথে ছিল বাম হাতে ঝিঝি। এই সব গুলো মোটা মোটি হার্ট এটাক এর লক্ষণ বলেই জানি। বালিশ পরিবর্তন করে কিছুক্ষণ দেখলাম, যদি ব্যথা কমে অথবা নিঃশ্বাস কিছুটা উন্নতি হয় কিনা। কিন্তু কষ্ট বাড়তেই থাকলো। যখন দেখলাম হাত ঘামাতে শুরু করেছে তখন আর অপেক্ষা করাটা বুদ্ধিমান এর মত মনে হলো না। আমার স্ত্রীকে বললাম ৯১১ কল করতে। প্রথমে ৯১১ ডিস্পেচ্যার ফোন নম্বর আর বাসার ঠিকানা নিয়ে কল পাঠিয়ে দিল ই এম টি (Emergency Medical Team) এর কাছে। ওরা আমাকে কতগুলো প্রশ্ন করলো। ইতিমধ্যে এম্বুলেন্স অবশ্য রওনা দিয়ে দিয়েছে। আমাকে জিগ্যেস করলো যে দরজা লক করা কিনা। ফোন রেখে দেওয়ার এক কি দুই মিনিটের মধ্যেই বাসার মধ্যে ৬ জন মানুষ এসে হাজির। দুই জন পুলিশ, দুই জন ফায়ার ফাইটার আর দুই জন প্যারামেডিকস। প্যারামেডিকস কিছু প্রশ্ন করলো, ব্লাড প্রেশার মাপলো। লং স্টোরি শর্ট, আস্তে আস্তে একটু ভালো লাগাতে আর হাসপাতাল এ যেতে হয় নাই। আলহামদুলিল্লাহ।
যাই হোক, এখন আসল কথায় আসা যাক, যেই জন্য এত কথা বলা। জীবন মৃত্যু আছে, যেটা চির সত্য। সেটা আমরা যে দেশেই থাকি না কেনো। হোক সেটা বাংলাদেশ বা আমেরিকা। আমি কোনো তুলনা করতে চাই না কারণ আমি জানি বাস্তবতাটা। একটা বিশাল ধনী দেশ আরেকটা সল্প মধ্যম উন্নত (নাকি মধ্যম স্বল্প উন্নত? যাই হোক)। কিন্তু যে পার্থক্যটা বিশাল করে চোখে ধরা পড়ল সেটা হলো, দেশের জনগনের প্রতি সেবা দেওয়ার অবস্তাটা। মাসে মাসে ইনকাম ট্যাক্স দেই, বছরে বছরে প্রপার্টি ট্যাক্স দেই, আর প্রত্যেক কেনা কাটায় সেলস ট্যাক্স দেই। সেটা ওখানেও দেই, এখানেও দেই। কিন্তু তার কতটুকু আমরা ফেরত পাই। অবশ্যই দেশের জন্য করতে হবে কিন্তু দেশের নামে আমার টাকা পলিটিশিয়ান আর আমলারা খাবলায়া খাবলায়া খাবে, সেটা কোনো সেন্স মেইক করে না।
No comments:
Post a Comment